পাখি গায় গান, দেই এ প্রতিদান?
হাবিবুল্লাহ
সকাল হতেই কিচির মিটির ঐ
পাখিটা ডাকে,
ঘুম থেকে তাই জাগ্রত হই পাখ-পাখালির
হাঁকে।
একদিন এক দুষ্ট বালক গুলতি
নিয়ে হাতে,
ঢিল ছুড়িল ঐ পাখিটার বুক
বরাবর কষে।
ঢিলের আঘাত খেয়ে পাখি দিগ্বিদিক
জ্ঞান হারায়,
প্রাণফাঁটা এক আর্তনাদে নিচে
পড়ে যায়।
পাখি পেয়ে দুষ্ট বালক খুবই
খুসি হলো,
পাখি নিয়ে আনন্দে তাই বাড়ি
চলে গেলো।
এই পর্যন্ত গিয়েই যদি ঘটনা
শেষ হতো,
তাহলে মোর মনের ভেতর দুঃখ
নাহি র’তো।
বিকেল বেলায় আমি যখন ওঠলাম
ঐ গাছে,
দেখতে পেলাম ঐ পাখিটার চারটি
ছানা আছে।
ছানাগুলো দেখে আমায় ডাকল
করুন সুরে,
হঠাৎ করে কষ্টে আমার হৃদয়
গেলো ভরে।
কেমন করে এখন আমি বাঁচাই
তাদের জীবন,
পরের আদর হয় কি কভু দুঃখী
মায়ের মতন?
ছানাগুলো নিয়ে আমি ফিরলাম
আমার ঘরে,
প্রাণটা খুলে আদর দিলাম তবুও
গেল মরে।
একটি মায়ের তরে গেলো চারটি
ছানার প্রাণ,
তবুও যে হায় পাখি মারি, গাই
আনন্দে গান!?
কেমন রুচি এটা মোদের অবুঝ
পাখি মারা?
দেয় কি তারা কষ্ট কভু লাভ-আনন্দ
ছাড়া?
যেই পাখিটা সকাল হতেই শুনায়
মধুর গান,
পোকা খেয়ে বাড়ার আরও ফল-ফসলের
মান।
বিনিময়ে কেমনে তাদের দেই এ প্রতিদান?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন