ভূমিকা: পুরুষ মহিলা সবারই রোগ হয়। তবে কিছু রোগ আছে ব্যতিক্রম, যা লিঙ্গভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এমন কিছু রোগ আছে, যেগুলো শুধু মহিলাদের জন্য নির্ধারিত। আবার কিছু রোগ আছে, যেগুলোতে শুধুমাত্র পুরুষেরাই ভোগে। আজকে আমরা আলোচনা করবো এমন একটি রোগ নিয়ে যাতে ৯৯% পুরুষই আক্রান্ত হয় কিন্তু জানেনা এর সঠিক কারণ ও প্রতিকার। আবার লজ্জায় কারও সাথে শেয়ারও করতে চায় না। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক-
অণ্ডকোষের ঘা: অণ্ডকোষ বা বীর্যথলের চামড়া খুবই পাতলা এবং নরম হয়। কিন্তু একজন উঠতি বয়সের তরুণ হঠাৎ করে দেখতে পায় যে, সেই নরম চামড়ার অণ্ডকোষ ঘায়ে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।সেই সাথে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথাও শুরু হয়েছে। এই মূহুর্তে কি তার করণীয় সে তা বুঝে উঠতে পারে না। আবার লজ্জায় এই সমস্যাটির কথা কারও কাছে বলতেও চায় না। তারপুর দু’একদিন পর দেখা যায় ঘা শুকাতে শুরু করেছে এবং সেই ঘায়ের শুকনো চামড়া উপরিভাগে লেগে খসখসে হয়ে যাচ্ছে। সেই খসে খসে চামড়ার কারণে উঠতে বসতে সমস্যা হয় আবার তা উঠাতে গেলে ঘায়ের শক্ত চামড়ার সাথে নিচের নরম চমড়াও ওঠে আসে। ফলে আবার রক্ত জমে নতুন করে ঘায়ের সৃষ্টি হয় এবং তা আবার শক্ত হওয়া শুরু করে।
কিভাবে হয় এই ঘা: একজন উঠতি বয়সের তরুণের নিম্নাংগে যখন চুল গজাতে শুরু করে তখন অণ্ডকোষের নরম চামড়াতেও চুল গজায়। সেই চুল যখন সে উপড়ে ফেলার জন্য টান দেয় তখন চুলের সাথে কিছুটা নরম চামড়াও উঠে আসে। এভাবে অনেকগুলো চুল একসাথে উপড়ানোর ফলে ছোট ছোট অনেক ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং দু’একদিন পর তা পরিপূর্ণ ঘায়ে ছেয়ে যায়। এই যে চুল উপড়ে ফেলার কারণেই ঘায়ের সৃষ্টি হলো- এটা তার মাথায় কাজ করে না বা এই কারণটি সে ধরতে পারে না।
যেভাবে প্রতিরোধ করা যাবে: যেহেতু এই ঘা সৃষ্টির মূল কারণ হলো চুল উপড়ে ফেলা, তাই চুল উপড়ানো বন্ধ করলেই এই ঘা সৃষ্টি হবে না। তবে আপনি যদি ভুলক্রমে চুল উপড়িয়ে ইতিমধ্যে ঘা তৈরি করে ফেলুন, তবে নিয়মিত নিম্নোক্ত কাজগুলো করুন, দেখবেন ঘা ভালো হয়ে যাবে-
টয়লেটে গিয়ে প্রথমেই স্থানটি ভিজিয়ে নিন। এতেকরে টয়লেটের কাজ শেষ হতে হতে জায়গাটি বেশ নরম হয়ে যাবে এবং মরা চামড়া সহজেই উঠার উপযোগী হয়ে যবে। তারপর টয়লেটের কাজ শেষ করে চামড়াতে আলতু করে ঘষে মরা চমড়া উঠিয়ে দিন, এখন আর সেই মরা চমড়া ভিতরের নরম চামড়ার সাথে শক্তভাবে লেগে থাকবে না এবং চামড়া উঠানোর ফলে উক্ত জায়গা ছিলে গিয়ে রক্তও বেরিয়ে আসবে ন। গোসলখানাতে গিয়েও একইভাবে শেষের দিকে ঘষে মরা চামড়া উঠিয়ে দিন। এভাবে নিয়মিত চামড়া উঠিয়ে দিলে একসময় ঘা দূর হবে এবং খসখসে ভাব দূর হবে।
৯৯% পুরুষ যে ভুলগুলো করে:
কিছু ভুল আছে, যে বিষয়ে আপনার একান্ত আপনজনও আপনাকে কিছু বলতে পারেনা। কারণ বিষয়টি এতই লজ্জাজনক যে, আপনার কাছে বলা হলে আপনি চরম লজ্জায় পড়ে যাবেন এবং দারুণ অপমানিত বোধ করবেন। অথচ ভুলগুলো সুধরানো এবং সতর্ক হওয়া আপনার খুবই প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নিই আমরা এমন কি কি ভুল করে থাকি।
ক) ঘরে মানুষ রেখে দরজায় দাড়ানোঃ বাড়িতে পুরুষেরা সাধারণত লুঙ্গি পড়ে থাকে। আর এই লুঙ্গি যত দামী হয় সাধারণত ততই পাতলা হয়ে থাকে। ধরুন আপনার নিকটাত্মীয় কেউ বেড়াতে আসলো। হতে পারে আপনার- শ্বশুর-শাশুরি। অথবা আপনার আব্বা-আম্মার সাথেই কোন বিষয়ে কথা বলতে বলতে গিয়ে খেয়ালবশত দরজার আলোতে গিয়ে দাড়ালেন। তখন কিন্তু ঘরে বসা লোকদের সামনে আপনার লুঙ্গি ভেদ করে সবকিছু দেখা যাচ্ছে। আপনি যে এই বিষয়টা জানেন না তা নয়। কারণ সবাই কোন না কোন সময় অন্যকে এভাবে দেখে কিন্তু লজ্জায় বলতে পারেনা। তবে হতাশার দিক হচ্ছে, নিজের বেলায় কেউ এই বিষয়টি মাথায় রাখতে পারে না।
খ) জানালা খোলা রেখে কাজ করাঃ ঘর সর্বদা বাহিরের চেয়ে কিছুটা অন্ধকার থাকে। আর আমরা জানালা খোলা রেখে অনেক সময়ই কাজ করতে যাই। আপনি যখন লুঙ্গি পড়ে কাজ করতে যান কিংবা জানালা খোলা রেখে তার সামনে কাপড় চেঞ্জ করতে যান তখন ঘরের লোকদের সামনে আপনার নগ্ন অঙ্গ দৃষ্টিগোচর হয়।কিন্তু এই বিষয়টা কেউ আপনাকে মুখে বলতে পারেনা। বুঝতেই পারছেন বিষয়টা কতটা লজ্জার! সুতরাং সাধু সাবধান। আজ থেকে এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে নিয়ে খুবই সতর্ক হোন। কারণ নিজের সম্মান ও ক্রেডিট বজায় রাখতে নিজেকেই প্রথমে পদক্ষেপ নিতে হবে।
উপসংহারঃ আপনি যদি আমার দু-একটি আর্টিকেল পড়ে থাকেন তবে একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল করেছেন যে, আমি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ও গবেষণামূলক নতুন নতুন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করি। আমি আশা করবো আপনারা নিয়মিত আর্টিকেলগুলো পড়বেন, এতে আপনি যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি আমিও লেখতে উৎসাহ পাবো। আমার লেখা আর্টিকেল প্রকাশিত হবার সাথে সাথে পেতে চাইলে ফলো করে রাখতে পারেন। আপনার কাছে কোন বিষয় নতুন এবং উপকারী মনে হলে তা সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন। এতে তারাও জানার সুযোগ পাবে। সবশেষে বরাবরের মতো সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো এখানেই শেষ করলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন