ভূমিকাঃ এমন কিছু ভুল আছে, যেগুলো আমরা বার বার সংঘটিত করে বিপদ তৈরি করে থাকলেও তা শুধরানোর চিন্তা করি না। ফলে বার বার দুর্ভোগ পোহাতে হয়।এখানে তেমন কিছু ভুল কাজ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সম্পুর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
প্রাত্যাহিক জীবনে আমাদের হরেক রকম কাজ করতে হয়।এই কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করি এবং এই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। কিন্তু কিছু কিছু কাজ অভ্যাস বশত বা চিরায়ত নিয়মে করার কারণে আমরা বিপদে পড়ে থাকলেও এসব নিয়ে তেমন ভাবি না।এই আরর্টিকেলে আজ এমনই কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
টেপের পানি চেক না করাঃ
বেশিরভাগ সময়ে টয়লেটের টেপে পানি থাকার কারণে আমরা ধরেই নেই যে, টেপে পানি থাকবেই।আর একারণেই মাঝে মাঝে তৈরি হয় বিপত্তিকর অবস্থা। টয়লেটের কাজ শেষ করে যখন টেপ ছাড়তে গেলেন, দেখলেন পানি নেই। কি এক বিধঘুটে অবস্থা! এই বিপত্তিকর ও লজ্জাজনক অবস্থা থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে প্রতিদিন টয়লেটে ঢুকে প্রথমেই টেপ ছেড়ে পানি দেখে নিতে হবে। আর এটাকে অভ্যাসে পরিণত করে নিলে আপনাকে আর বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না। সুতরাং সাবধান হোন এবং বিষয়টি মাথায় একেবারে গেথে রাখুন।
রান্নাঘরে দরজা না রাখা:
আমরা থাকার ঘরের জন্য মজবুত দরজা রাখলেও রান্নাঘরে কোন দরজা ব্যবহার করি না।আমাদের এই কালচারটা একেবারেই ভুল একটি প্র্যাকটিস। খাবারকে স্বাস্থ্যসম্মত এবং প্রাণির নাগাল থেকে দূরে রাখতে রান্না ঘরে দরজা রাখা খুবই জরুরী। আমাদের খাবারগুলো দীর্ঘ সময় ধরে রান্না ঘরেই থাকে। আর দরজা না থাকার ফলে ইদুর-বিড়াল আর তেলাপুকার আনাগুনা বেড়ে যায়। আর এগুলো খাবারকে নষ্ট ও অস্বাস্থ্যকর করে থাকে। তাই আমাদের খাবারকে স্বাস্থ্যকর ও শরীরকে সুস্থ রাখতে রান্নাঘরে দরাজা রাখা এবং কাজ শেষে তা বন্ধ করে রাখা জরুরী।
দা ও বটি পরিষ্কার না রাখা:
আমাদের প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যে অন্যতম হলো- দা ও বটি।প্রতিদিন ব্যহার করার ফলে এগুলোকে পরিষ্কার রাখার ব্যপারে আমাদের মধ্যে এক রকম উদাসীনতা তৈরি হয়। তাই মাছ, মাংস, ইত্যাদি কাটার পর অধিকাংশ সময়ই পরিষ্কার রাখি না। ফলে শিশুরা তা দিয়ে ফলমুল বা কিছু কেটে খেয়ে ফেললে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই দা, বটি দিয়ে কাজ শেষ করার পর তা ভালভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
টিউবওয়েলের হাতল পরিষ্কার না রাখা:
প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় বস্তুর একটি হলো টিউবওয়েল। এই টিউবওয়েলে প্রতিদিন একজন মানুষ অসংখ্যবার হাত লাগায়। তো একজনের হাতে জীবাণূ থাকলে তা সহজেই পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।কিন্তু তা অধিকহারে ব্যবহারের ফলে সেই হাতল পরিষ্কার রাখার ব্যপারে আমরা সবাই খুব উদাসীন থাকি। আর এই উদাসীনতার ফলেই পারিবারে রোগ বালাই প্রায় লেগেই থাকে। শিশুরা টয়লেট ব্যবহারের পর ভালভাবে হাত পরিষ্কার না করেই টিউবওয়েলের হাতলে হাত লাগায়। আর এই হাতল ব্যবহার করেই মায়েরা রান্নার কাজে পানি সরবরাহ করে থাকে। ফলে খাবার অস্বাস্থ্যকর ও জীবাণুযুক্ত হয়ে পড়ে। আর এই খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যগণ অসুস্থতায় ভোগে থাকে। সুতরাং এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে শিশুদেরকে সাবধান ও সতর্ক করতে হবে।টয়লেট ব্যবহারের পর ভালভাবে হাত পরিষ্কার করার জন্য পরিবারের সকল সদস্যকে সতর্ক করতে হবে, এবং টিউবওয়েলের হাতল পরিষ্কার রাখার ব্যপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
ঘর্মাক্ত কাপড় সাথে সাথে না ধোয়াঃ
কায়িক পরিশ্রমের পর আমরা অনেকেই গায়ের কাপড়গুলো ঘর্মাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখি। ফলে কাপড়ে সহজেই দিতি পড়ে যায় এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই কাপড়কে অধিক সময় ব্যবহার উপযোগী এবং পরিষ্কার রাখতে হলে অবশ্যই ঘর্মাক্ত কাপড় সাথে সাথেই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এতে কাপড়ে সহজে দিতি পড়বে না এবং পরিষ্কার থাকবে।
গরু মহিষের রশ্মি হাতে পেচিয়ে ধরা:
আমরা অনেক সময় গরু-মহিষকে আটকে রাখতে তার রশ্মি হাতে পেচিয়ে ফেলি। এটা মারত্মক বুকামি কাজ। কারণ এই প্রাণীগুলো ভয় পেয়ে বা যে কোন কারণে অবাধ্য হয়ে ছুটে পালাতে চাইলে পেচানো রশ্মি তাড়াতাড়ি হাত থেকে খুলে ফেলা সম্ভব হয় না, ফলে আপনি চরম বিপদে পড়ে যেতে পারেন। এই বিষয়টি মাথায় না রাখার কারনে হাত, হাতের আঙ্গুল ইত্যাদি গরুর টানের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে মারাত্মক হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে।
শেষকথাঃ
লেখাটি পড়ে যদি নতুন কিছু জেনে থাকেন তবে কমেন্টে আপনার মতামত জানিয়ে দিতে পারেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে আরও কিছু নতুন বিষয় ও চিন্তা শেয়ার করা যাবে। লেখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখতে পারেন। এতেকরে আপনার বন্ধুরাও জানার সুযোগ পাবে। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এথানেই শেষ করছি। -আল্লাহ হাফেজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন